ব্রেইনের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকারক কিছু কাজ যা আমরা অজান্তেই করে থাকি
আমরা অজান্তেই এমন কিছু কাজ করে থাকি যা আমাদের অত্যন্ত মুল্যবান মস্তিস্কের জন্য বিপদ বয়ে আনে।
চলুন জেনে নেই সেগুলো-
সকালে নাশতা না করা : অনেককেই বলতে শুনি সকালে ঘুম থেকে উঠে নাশতা করতে মন চায় না। কিন্তু আমাদের ব্রেইনের জন্য এটা ঠিক নয়। সকালে নাশতা না করলে রক্তে গ্লুকোজ স্বল্পতার কারণে ব্রেইন পর্যাপ্ত পুষ্টি পায় না। ধীরে ধীরে ব্রেইন মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
অতিরিক্ত খাবার গ্রহণ : অতিরিক্ত খাবার গ্রহণ করলে ব্রেইনের রক্তনালির ইলাস্টিসিটি নষ্ট হয়ে যায়। ফলে ব্যক্তির মানসিক সমস্যা হতে পারে। তাই ব্রেইনকে ভালো রাখতে পরিমিত খাবার গ্রহণ করতে হবে।
ধূমপান : ধূমপানের অপকারিতার কোনো শেষ নেই। শরীরের এমন কোনো অংশ নেই যা ধূমপানের ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হয় না। অতিরিক্ত ধূমপানের ফলে ব্রেইন সংকুচিত হয়ে যায়। ফলে আলঝেইমার নামক স্মৃতিশক্তি লোপজনিত সমস্যা হতে পারে।
অতিরিক্ত মিষ্টি গ্রহণ : অতিরিক্ত মিষ্টি খেলে আমিষ ও অন্যান্য পুষ্টি উপাদানের পরিপাক ও শোষণে বাধার সৃষ্টি করে, ব্রেইনের ওপর প্রভাব পড়ে এবং ব্রেইনের বিকাশ সাধনে অন্তরায় হয়ে দাঁড়ায়।
বায়ুদূষণ : এর ফলে ব্রেইনের কার্যক্ষমতা ধীরে ধীরে কমে যায়। দূষণের ফলে অক্সিজেন সমৃদ্ধ বাতাস আমাদের ব্রেইনে যেতে পারে না। ফলে ব্রেইন ধীরে ধীরে পুষ্টির অভাবজনিত স্বাভাবিক কার্যক্ষমতা হারিয়ে ফেলে।
নিদ্রাহীনতা : ঘুম ব্রেইনের বিশ্রামের জন্য অত্যন্ত জরুরি। পর্যাপ্ত ঘুম ব্রেইন কোষের স্বাভাবিক কার্যাবলি নিয়ন্ত্রণের জন্য জরুরি। নিদ্রাহীনতা ব্রেইনের কোষের মৃত্যুর জন্য দায়ী। সুতরাং পর্যাপ্ত ঘুমকে ব্রেইনের বিশ্রাম দিয়ে এর কার্যক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে।
ঘুমানোর সময় মাথা ঢেকে রাখা : অনেকেই শীতের সময়ে লেপ, কম্বল অথবা চাদর দিয়ে মাথা আবৃত করে ঘুমায়। এতে নিঃশ্বাসে কার্বন ডাইঅক্সাইড ঘনীভূত হয় এবং অক্সিজেনের পরিমাণ কমে যায়। ফলে ব্রেইনের ক্ষতি হয়। তাই ঘুমানোর সময় মাথা ঢেকে রাখা থেকে বিরত থাকতে হবে।
অসুস্থ শরীরে কাজের বোঝা : এমন অনেকেই আছেন অসুস্থ হলেও কাজ করে যান। বলতে শুনি, না করে উপায় নেই, করতে তো হবেই। কিন্তু এমনটা হলে শুধু শরীরই ক্ষতিগ্রস্ত হয় না, ব্রেইনের ওপরও অতিরিক্ত কাজের চাপ পড়ে। অসুস্থ শরীরে অতিরিক্ত কাজ করলে ব্রেইনের ওপর প্রভাব পড়ে। ফলে ব্রেইন দীর্ঘমেয়াদি ক্ষতির সম্মুখীন হতে পারে।
চিন্তা : বেশি বেশি চিন্তা করুন, তবে সেটা দুশ্চিন্তা নয়। ব্রেইন কোষের উন্নতির জন্য চিন্তাভাবনা জরুরি। যত বেশি সৃষ্টিশীল চিন্তায় মনোযোগ দিতে পারবেন, তত বেশি ব্রেইন কোষ উদ্দীপ্ত হবে। ব্রেইন আরও বেশি দক্ষ ও মনোযোগী হতে পারবে। চিন্তাহীন ব্রেইন ধীরে ধীরে সংকুচিত হয়ে ব্রেইনের কার্যক্ষমতা কমিয়ে দেয়। লোহার জিনিস বহুদিন অব্যবহৃত অবস্থায় ফেলে রাখলে যেমন মরিচা পড়ে তেমনি।
কথা কম বলা : কম কথা বলা জ্ঞানীর লক্ষণ, এটা সবাই বলে। কিন্তু বেশি চুপচাপ থাকা ব্রেইনের জন্য ক্ষতিকর। যত বেশি বুদ্ধিবৃত্তিক আলোচনায় অংশ নিতে পারবেন সেটা ব্রেইনের স্বাভাবিক দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য তত কাজে লাগবে।
তাই চুপচাপ নয় বরং কার্যক্ষেত্রে বেশি বেশি আলোচনায় অংশ নিয়ে ব্রেইনকে সতেজ রাখুন। দক্ষতা বাড়ান।