যেসব খাবারে চুল দ্রুত লম্বা করে
চুল ভালো রাখার জন্য কেবল বাইরে থেকে যত্ন নিলেই হবে না, সেইসঙ্গে খেতে হবে চুলের জন্য উপকারী সব খাবার। লম্বা চুল পেতে চাইলে সেসব খাবারের বিকল্প নেই। কারণ চুল সুস্থ থাকলেই তা লম্বা হবে। নয়তো বিভিন্ন সমস্যার সৃষ্টি হয়ে চুল ঝরে বা ভেঙে যেতে পারে।
নিয়মিত তেল, হেয়ার প্যাক ব্যবহারের পাশাপাশি নজর রাখতে হবে খাবারের তালিকায়। কোন খাবার খেলে তা চুল লম্বা করতে কাজে লাগবে সেই তালিকা আগে জেনে নিতে হবে।
চলুন তবে জেনে নেওয়া যাক , যেগুলো খেলে তা আপনার চুল ভালো রাখতে কাজ করবে-
ডিম
ডিমে রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমানে প্রোটিন। এমনকি চুল মূলত তৈরি হয় যে উপাদান দিয়ে তা হলো প্রোটিন। প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় যদি প্রোটিন রাখা যায় তাহলে চুল খুব দ্রুত লম্বা হয়।
আমলকি
চুলের জন্য উপকারী একটি ফল হলো আমলকি। চুলে সরাসরি আমলকি ব্যবহার করতে পারেন। এর হেয়ারপ্যাক ব্যবহার করতে পারেন। আবার ব্যবহার করতে পারেন আমলকির রসও। সরাসরি চুলে আমলকি না করে খাবারের তালিকায় রেখেও পেতে পারেন উপকার। কারণ এটি আমলকি অ্যান্টি অক্সিড্যান্ট সমৃদ্ধ। সেইসঙ্গে চুলে অকালে পাক ধরা রোধ করে ও চুলের স্বাস্থ্য ভালো রাখে।
পালং শাক
পালং শাক সহ অন্যান্য সকল পাতা জাতীয় খাবারে অনেক বেশি পরিমানে আয়রন থাকে।শরীরে আয়রনের অভাব হলে চুল পরতে শুরু করে। আয়রনের অভাব হলে প্রয়োজনীয় অক্সিজেন ও পুষ্টিকর পদার্থ গুলো চুলে পৌঁছতে পারে না। যার ফলে চুল দুর্বল হয়ে যায়।
বাদাম
চুলের জন্য উপকারী একটি খাবার হলো বাদাম। বাদামের তেল সরাসরি চুলে ব্যবহার করতে পারেন। সেইসঙ্গে খাবারের তালিকায় বাদাম রাখলে তা আপনার চুলের জন্য উপকার করবে।
বাদামে থাকে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড। সেইসঙ্গে আরও আছে বায়োটিন ও ভিটামিন ই। এটি অ্যান্টি অক্সিড্যান্ট সমৃদ্ধ। লম্বা চুল পেতে চাইলে প্রতিদিন সকালে খালি পেটে ভেজানো বাদাম খাবেন।
ত্রিফলা
ত্রিফলা স্বাস্থ্যের জন্য ভালো। প্রতিদিন ত্রিফলা খেলে স্বাস্থ্যের অনেক সমস্যাই সমাধান সম্ভব হয়। ত্রিফলায় থাকে অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল উপাদান। এটি চুল দ্রুত বাড়তে সাহায্য করে। সেইসঙ্গে চুলের অকালে পেকে যাওয়ার সমস্যাও দূর করে। ত্রিফলা পানিতে ভিজিয়ে রেখে পান করুন। পান করতে পারেন মধু মিশিয়েও। নিয়মিত এভাবে খেলে উপকার পাবেন।
আঙুর
আঙুর- এতে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্যযুক্ত পলিফেনলিক যৌগ, যা কোষের ক্ষয়-ক্ষতি রোধ করে। আঙুরে উপস্থিত অলিগোমেরিক প্রানথোসায়ানিডিনস উপাদানটি চুল উঠা কমিয়ে আনে।পাশাপাশি চুলের বৃদ্ধি তরান্বিত করে। প্রতিদিন এক কাপের মত আঙুর খেলে শরীরের কোষের জ্বালাপোড়া রোধ হয়।
শসা
শসা খাওয়া উপকারী। এটি আমাদের চুলের জন্যও দুর্দান্ত কার্যকরী। এটি চুলের অনেক সমস্যা দূর করে। এই সবজিতে আছে প্রচুর সিলিকন এবং সালফার। এসব উপাদান চুলের বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। সেইসঙ্গে দূর করে শরীরের পানির অভাব। কমায় প্রদাহ। লম্বা চুল পেতে চাইলে প্রতিদিন শসার স্মুদি খান। টুকরো করে কাটা শসাও খেতে পারেন।
তিল ও জিরা
তিল ও জিরা দুটিই স্বাস্থ্যের জন্য ভালো। জিরা পেট ভালো রাখতে কাজ করে। সেইসঙ্গে এই দুই খাবার আপনার চুল লম্বা করতেও কাজ করবে। তিল ও জিরায় থাকে প্রচুর ক্যালসিয়াম। এছাড়াও এতে আছে প্রচুর ম্যাঙ্গানিজ। যা চুল ভালো রাখতে কাজ করে। শরীরের হরমোনের ভারসাম্য বজায় রাখতে এই দুই খাবার বেশ সহায়ক। রুটি তৈরির সময় তিল মিশিয়ে খেতে পারেন। এছাড়া জিরা ভেজানো পানি পান করতে পারেন।
চুল লম্বা করতে যে সকল পুষ্টি প্রয়োজন সে সকল পুষ্টিগুণ ভরপুর খাবার প্রতিদিনের তালিকায় রাখা উচিৎ।