শীতকালে ওজন বৃদ্ধির কারন, কীভাবে এড়ানো যায়
শীতে শরীরে অলসভাব দেখা দেয়। এ সময় সব কাজে আলসেমি চলে আসে। শীতে কাজের গতিও কমে যায়। আবার শরীরচর্চাতেও ভাটা পড়ে এ সময়।
শরীরচর্চায় অলসতার কারণেই শীতে ওজন বেড়ে যায়। তবে কী কারণে শীতে শরীরে অলসতা আসে আর ওজন বাড়ে?
আপনি খেয়াল করে দেখলে বুঝবেন শীত আসার সাথে সাথেই আপনার প্রতিদিনের শার্ট প্যান্ট টাইট হয়ে গিয়েছে।
আপনি আগের মতই সবকিছু করছেন তবুও খেয়াল করে দেখবেন কিছুটা হলেও আপনার শরীরের ওজন বেড়েছে। এ সমস্যা শুধু আপনার নয়। শীতে বেশিরভাগ মানুষের শরীরের ওজন বেড়ে যায়।
শীতে ঠান্ডা, কাশি হয় না সেই সাথে বাড়ে ওজন। একটি গবেষণায় দেখা গিয়েছে শীতে বেশিরভাগ মানুষের ওজন তিন থেকে পাঁচ কেজি ওজন বৃদ্ধি পায়।
বাড়তি ওজন কি কারণে বৃদ্ধি পায় সে সম্পর্কে জানতে হবে-
হরমোনাল সমস্যা
হরমোনের সমস্যার কারণে ওজন বাড়তে পারে। এক্ষেত্রে ডায়াবেটিস এবং থাইরয়েডে আক্রান্ত ব্যক্তিরা শীতে ওজন নিয়ে সমস্যায় পড়েন।শীতে হরমোনগুলো নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়।
শারীরিক ক্রিয়া কমানো
শীতের শুরু হওয়ার সাথে সাথে আমরা বেশিরভাগ সময় বাড়িতে ব্যয় করি। লেপ বা কম্বলের তলায় বই পড়েই হয়ত কাটিয়ে দেয়।
অনেকে ঠান্ডার কারণে হাটা, জগিং ছেড়ে দেন। এতে করে খাবার খাওয়ার মাধ্যমে শরীরে যে ক্যালোরি যোগ হয় বা বার্ণ হয় না।
ফলে তা ফ্যাট আকারে শরীরে জমা হয়। সবচেয়ে ভালো আপনি একজন ওয়ার্কআউট পার্টনার খুঁজে বের করুন। এতে হাটা বা জগিং এর প্রতি আগ্রহ জমবে।
মন মেজাজের উপর প্রভাব
সূর্যের আলোর অভাবে বেশিরভাগ মানুষ সিজনাল অ্যাফেক্টিভ ডিসঅর্ডারে ভোগে। এর ফলে মানুষ অনেক সময় বেশি খেয়ে থাকে বা অস্বাস্থ্যকর খাবার খেয়ে থাকে যা অস্বাস্থ্যকর জীবন পরিচালিত করে।
এতে করে সময়ের সাথে সাথে ওজন বাড়ে। এই সমস্যাটি কাটিয়ে উঠতে, যখনই সম্ভব সূর্যের আলোতে কিছুটা সময় ব্যয় করার চেষ্টা করুন।
ভারী খাবার
শীতকালে মুখরোচক বিভিন্ন সবজি খেতে অনেকেই পছন্দ করেন। সঙ্গে মজার মজার মিষ্টি পিঠা, অতিরিক্ত কার্ব ও চর্বিযুক্ত খাবার, গরু-হাঁসের মাংস দিয়ে বিভিন্ন রেসিপি ভীষণ জনপ্রিয়তা পায় শীতে।
এসব খাবার শরীরে তাপমাত্রা বাড়ায়, তাই খেতে সবার আগ্রহ থাকে।
পানিশূন্যতা
শীতকালে পানির পিপাসা কম লাগে। তাই এই ঋতুতে হাইড্রেট/পানিশূন্যতা থাকাটাই বড় চ্যালেঞ্জ। শীতে শরীর সুস্থ রাখতে প্রতিদিন কম করে হলেও ২ থেকে ৩ লিটার পানি পান করা উচত।
কারণ পানির অভাবে ডিহাইড্রেশন/পানিশূন্যতা দেখা দেয় এবং ডিহাইড্রেশনের প্রভাবে শরীর দুর্বল লাগে ও ক্ষুধা বেড়ে যায়।