শীতে নিরাপদ ও সুস্থ থাকতে,যে চার বিষয়ে নজর দেওয়া জরুরি
শীতের আগমনে হিমেল চাদরে মুড়িয়ে যায় প্রকৃতি। একটু একটু করে হিমেল চাদরে তাই মুড়ে যাচ্ছে পৃথিবী।
গ্রামাঞ্চলে ভালোই শীত পড়ে গেছে। এতে অনেকের খুচখাচ সর্দি-কাশি শুরু হচ্ছে। কিন্তু ওষুধে সর্দি-কাশি সেরে গেলেও, এমন কিছু বিষয় রয়েছে ,যার দিকে নজর না দিলে শীতে দুরবস্থা হতে পারে।
তাই শীতে যেসব বিষয়ে নজর দেওয়া জরুরি—
পানি পান করুন
শীতে প্রচুর পরিমানে পানি পান করতে হবে। কারণ, শীতে আবহাওয়া শুকনো হয়ে থাকে, এর প্রভাবে শুকিয়ে যেতে থাকে আমাদের শরীরও।
শুধু ত্বকেই ভাঁজ পড়ে না, পাশাপাশি শরীর ভিতর থেকেও শুকিয়ে যায়। তাই শীতে ভিতর-বাইর থেকে ভালো থাকতে, পানি ছাড়া গতি নেই! তৃষ্ণা না পেলেও দিনে অন্তত দুই লিটার পানি পান করতে হবে। অন্যথায় অসুস্থতা ছাড়া আর কিছু হবে না।
রূপটানের ব্যবহার
শীতের ক্ষতিকর প্রভাব সবচেয়ে বেশি দেখা যায় ত্বকে। এই সময় ত্বক খুব সংবেদনশীল পর্যায়ে থাকে। ফলে সামান্য অনিয়মে ও ব়্যাশ,অ্যালার্জি দেখা দেয়। তাই শীতে মেকাপ, ক্রিম- এসব রূপটানের জিনিস খুব সাবধানে কিনুন।
কারণ, পারদ-যুক্ত প্রসাধনী ত্বকের জন্য আরও সমস্যা ডেকে আনতে পারে। পাশাপাশি, হালকা ঘরোয়া কোনো ফেসপ্যাক ব্যবহার করতে পারেন। ত্বক কোমল থাকবে।
তেলে ত্বক তাজা
শীতে ত্বকের ক্ষতি হয়, এটা সবাই জানে। কিন্তু ক্ষতিটা কীভাবে হয়? আসলে এই সময় ত্বকের অ্যাসিড লেভেল কমে যায়। ফলে, ত্বক তার আর্দ্রতা হারায়। খুব তাড়াতাড়ি শুকনো, অনুজ্জ্বল হয়ে পড়ে।
তাই শীতে ত্বক তরতাজা রাখতে তেল মাখতে পারেন। প্রতিদিন গোসলের আগে নিয়ম করে তেল মাখুন। দেখবেন, রুক্ষ শীতেও ত্বক চকচকে থাকছে।
পায়ের যত্ন
শীতে পায়ে দুর্গন্ধ, গোড়ালি ফাটার মতো সমস্যা দেখা দেয়। এর হাত থেকে বাঁচতে সব সময় পা পরিষ্কার রাখুন। বাইরে থেকে এসে ভালো করে সাবান দিয়ে পা পরিষ্কার রাখুন। তাতে শুকনো ও মরা কোষ উঠে যাবে, পায়ে দুর্গন্ধও হবে না।
এছাড়া পা ফাটা রুখতে বাড়িতেও খালি পায়ে থাকা বন্ধ করুন। যাতে পায়ে সরাসরি ঠান্ডা না লাগে। ঘুমোতে যাওয়ার আগে পায়ের পাতায়, গোড়ালিতে কোনো ক্রিম ম্যাসাজ করুন।