১২টি অভ্যাস: চাইনিজ মহিলাদের তারুণ্যের রহস্য
অনেক বয়স পর্যন্ত নিজেদের তারুণ্য ও চেহারার সৌন্দর্য ধরে রাখার জন্য চাইনিজ মহিলারা সব সময়ই খ্যাত। এমন কি যথেষ্ট বয়স্ক একজন চাইনিজ মহিলার চেহারা দেখেও তার বয়স সঠিক ভাবে অনুমান করা যায় না। মনে হয় যেন তার বয়স এখনও ২০ পেরোয় নি। এর পিছনের রহস্য কি?? আসুন জেনে নেয়া যাক।
নিজেদের সৌন্দর্য বৃদ্ধি ও তারুণ্য ধরে রাখার জন্য চাইনিজ মহিলারা কিছু সুনির্দিষ্ট নিয়ম সব সময় তাদের জীবনে প্রতিপালন করেন। বলতে পারেন এ গুলো তাদের জীবনধারার অবিচ্ছেদ্য অংশ। যেমন:
১. চাইনিজ মহিলারা রূপচর্চার জন্য প্রচুর টাকা খরচ করেন। এমন কি মাসে ৩০০ ডলার পর্যন্ত! রূপচর্চার জন্য তারা চাইনিজ পণ্য সামগ্রী অপেক্ষা জাপানি বা কোরিয়ান ব্র্যান্ডই বেশি পছন্দ করেন। তাছাড়া পশ্চিমা ব্র্যান্ড তো রয়েছেই।
২. চাইনিজ মহিলারা নারী পুরুষের দীর্ঘ স্থায়ী সম্পর্কে বিশ্বাসী। তাই পশ্চিমাদের “জৈবিক আবেদন” (sensuality) এর স্থলে তাদের কাছে নিজেকে “সুন্দর” (beautiful) করে তুলার বিষয়টি বেশি গুরুত্বপূর্ণ। তারা নিজেদের চেহারার ফর্সা ভাবকে সর্বত ভাবে ধরে রাখেন। এক্ষেত্রে তারা রঙ ফর্সাকারী ক্রিম, সানস্ক্রিন ইত্যাদি থেকে শুরু করে পুরোমুখ ঢাকার জন্য মাস্ক (mask) ব্যবহার করা পর্যন্ত ছাড়েন না।
৩. তারা সব সময় নিজেদের শরীরকে সরু বা হালকা পাতলা গড়নের রাখেন।
৪. গোলগাল বা নাদুসনুদুস দেখতে যদিও খুব একটা খারাপ নয়, অনেকটা সুন্দর; কিন্তু চাইনিজ কোন মহিলাকে যদি আপনি প্রশংসা করে “শক্তিশালী” বলেন- তাহলে তিনি আপনাকে নির্ঘাত শত্রু মনে করবেন। কেননা শক্তিশালী হওয়াটা পুরুষদের সাথে সংশ্লিষ্ট।
৫. একজন চাইনিজ মেয়েকে সব সময় সুন্দর ও আকর্ষণীয়া হয়ে থাকতে হয়। অনেকটা রাজকন্যার মতো। তাই আপনি যে কোন বয়সী একজন চাইনিজ মহিলাকে বিভিন্ন রঙের পোশাক পরিধান করতে দেখবেন; বিশেষ করে গোলাপি রঙের। তাদের পোশাকে নানা চুমকি, কারুকাজ, পশুপাখির ছবি ইত্যাদি শোভা পায়।
৬. চাইনিজদের দৈনিক রুটিন অনেকটা ধর্মীয় বিধানের মতো। নির্দিষ্ট সময় পুরো চাইনিজ জাতি ঘুমায়, ঘুম থেকে ওঠে এবং দুপুরে খাবারের পর বাধ্যতামূলকভাবে কিছুক্ষণ ঘুমায়।
৭. যেকোনো মৌসুমে চাইনিজ মহিলারা তাদের জন্য উপকারী খাবারই গ্রহণ করে থাকেন। বিশেষত আদা, কালো তিল, জোজোবা (jojoba) এবং কালো অশোধিত চিনি (black unrefined sugar) তারা নিয়মিত সেবন করে থাকেন।
৮. চাইনিজ মহিলারা মিষ্টান্ন সাধারণত খান না। তারা মসলাদার বা নোনতা জাতিয় খাবার এবং প্রচুর পরিমাণের শাকসবজি ও ঔষধি লতাপাতা (herbs) খেয়ে থাকেন।
৯. চাইনিজ মহিলারা সেলফি তুলে তা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট করতে পছন্দ করেন।
কুইপাও
১০. চাইনিজ মহিলারা যদিও মিনিস্কার্ট পরেন কিন্তু তাদের শরীরের উপরের অংশ সব সময় ঢেকে রাখেন। তারা “কুইপাও” (qipao) নামক এক ধরনের পোশাক পরন।
১১. চাইনিজ মহিলারা ঠাণ্ডা কোন খাবার খান না; যেমন: আইসক্রিম ইত্যাদি। তারা সব সময় গরম পানি পান করেন। ঠাণ্ডা লাগার ভয়ে সন্তান প্রসবের এক মাস পর্যন্ত তারা স্বাভাবিক পানি দিয়ে গোসল করেন না। তখন তারা আদা আসিক্ত গরম পানি (ginger-infused-water) ব্যবহার করেন।
১২. সন্তান প্রসবের এক মাস পর্যন্ত চাইনিজ মহিলারা গায়ে উষ্ণ কাপড় জড়িয়ে বিছানায় শুয়ে থাকেন।